আরামবাগ টিভির সম্পাদককে গ্রেফতারের পদ্ধতি নিয়ে ডিজিপির কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট
গত ২৯ জুলাই গভীর রাতে টিভি চ্যানেলের সম্পাদক সফিকুল ইসলামের বাড়িতে চড়াও হয়ে দরজা-জানলা ভেঙে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে গ্রেফতার হন তাঁর স্ত্রী আলিমা খাতুন ও চ্যানেলের সাংবাদিক সুরজ আলি খান।
আরামবাগ থানার আইসি পার্থসারথি হালদারের নেতৃত্বে পুলিশের এই অভিযানের দৃশ্য দেখা গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজে।
হাইকোর্টের বিচারপতি দয়মাল্য বাগচি এঁদের গ্রেফতারের পদ্ধতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ডিজিপিকে। প্রাথমিক দৃষ্টিতে আদালত মনে করছে তিনজনকে গ্রেফতারের ঘচনায় দেশের সংবিধানকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। সফিকুল ইসলামের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন যে ঘটনার ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, তা তিন মাসের পুরনো। তাছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে বিনা নোটিশে।
এদিন আদালতে সফিকুল ইসলামের তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন চট্টোপাধ্যায় সওয়াল করেন, লকডাউন চলাকালীন আরামবাগের ৫৭টি ক্লাবকে রাজ্য সরকারের তরফে এক লাখ টাকার চেক দেওয়া, বালির লরি আটকে পুলিশের ঘুষ খাওয়ার মতো ঘটনা প্রকাশ্যে আনার পরেই শাসকদলের রোষে পড়েন সফিকুল ও তাঁর টিভি চ্যানেল।
আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁকে ও তাঁর সহকর্মীদের রাত্রে গ্রেফতার করে হেনস্থার চক্রান্ত করা হয়েছে। এভাবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে ।
মামলায় অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল শোনার পরে আরামবাগ টিভি চ্যানেলের সম্পাদক সফিকুল ইসলাম ও সাংবাদিকদের গ্রেফতারের পদ্ধতি পর্যালোচনা করে সবিস্তারে রিপোর্ট জমা দিতে ডিজিপি-কে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।