জানেন কি অক্ষয় তৃতীয়ার তাৎপর্য কি ? জেনে নিন কিছু তথ্য
১লা বৈশাখের পর এবছর লকডাউনের মাঝেই অক্ষয় তৃতীয় পালন করবে বাঙালিরা। রবিবার,২৬শে এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ মহরত।
অক্ষয় তৃতীয়ার পুজোর মহরত- পঞ্জিকা অনুযায়ী, আগামিকাল সকাল ৬.৩৬ মিনিট থেকে ১২.৩৬ মিনিট পর্যন্ত বিষ্ণুর পুজো করার জন্য উপযুক্ত সময়। অর্থাৎ
অক্ষয় তৃতীয়ার তিথি শুরু ২৫ এপ্রিল সকাল ১১.৫১ মিনিট থেকে ২৬ এপ্রিল বেলা ১টা ২২ মিনিট পর্যন্ত।
বৈদিক বিশ্বাসানুসারে, এই পবিত্র তিথিতে কোন শুভকাজ সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। তাই এই তিথিতে সোনার বা রূপার গয়না কেনা হয়। হিন্দি বলয়ে অক্ষয় তৃতীয়া পরিচিত ‘আখা তীজ’ নামে।
অক্ষয় তৃতীয়ার তাৎপর্য- অক্ষয় তৃতীয়া হল বৈশাখ মাসের শুক্লাতৃতীয়া অর্থাৎ শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এইদিন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
এইদিনই আবির্ভূত হয়েছিলেন বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম। জানা যায় আজকের দিনেই নাকি মহাভারত রচনার কাজ শুরু করেছিলেন বেদব্যাস ও গণেশ।
হিন্দু পুরান মতে এইদিনই সত্য যুগ শেষ হয়ে ক্রেতাযুগের সূচনা হয়। বলা হয় অক্ষয় তৃতীয়াতেই নাকি রাজা ভগীরথ দেবী গঙ্গাকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন। এদিনই নাকি কুবেরের লক্ষ্মীলাভ হয়েছিল। তাই এদিনে ধন-লক্ষ্মীর পুজো করা হয়।
অক্ষয় তৃতীয়া দিন থেকেই পুরীধামে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উপলক্ষে রথ নির্মাণের কাজও শুরু হয়ে যায়।
অক্ষয় তৃতীয়া ও দ্রৌপদীর কাহিনি- পুরাণ অনুযায়ী, অক্ষয় তৃতীয়ার এই দিনেই দ্রৌপদীকে অক্ষয় পাত্র দান করেছিলেন ভগবান বিষ্ণু।
কথিত আছে মহাভারতে পাণ্ডবরা যখন বনবাস করছিলেন, তখন একদিন ঋষি দুর্বাসা তাঁদের কুটীরে প্রবেশ করেন। কোন খাবার অবশিষ্ট না থাকায় পঞ্চপাণ্ডব পত্নী দ্রৌপদী কীভাবে ঋষির আপ্যায়ন করবেন বুঝতে না পেরে কাঁদতে কাঁদতে ভগবান বিষ্ণুর কাছে প্রার্থনা করেন।
তিনি আবির্ভূত হয়ে পড়ে থাকা পাত্র থেকে একটি দানা খান। এবং গোটা বিশ্বের ক্ষুধা নিবারণ হয়েছিল সেই একটি দানাতেই।