24/09/2020

লকডাউনের 3.0 তে কী করা যাবে, কী করা যাবে না দেখে নিন এক ঝলকে

লকডাউনের 3.0 তে কী করা যাবে, কী করা যাবে না দেখে নিন এক ঝলকে

করোনা সংক্রমণ রুখতে আগামী ১৮ মে পর্যন্ত দেশব্যাপী লকডাউন থাকবে বলে শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মেয়াদ বাড়ানো হল লকডাউনের। গত ২৫ মার্চ থেকে দেশব্যাপী লকডাউন চলছে। সংক্রমণের ভিত্তিতে ‘রেড’, ‘অরেঞ্জ’ ও ‘গ্রিন’ জোনে ভাগ করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলাকে।

জেনে নিন লকডাউনের তৃতীয় পর্যায়ে কী কী বিধিনিষেধ থাকছে:

অতি সংক্রমিত অঞ্চলের ক্ষেত্রে সরকারের ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপটি ডাউনলোড আবশ্যিক।

কেউ বাইরে বেরোতে পারবেন না চিকিৎসাগত আপৎকালীন পরিস্থিতি ছাড়া কিংবা আবশ্যিক সামগ্রী সরবরাহ ও পরিষেবার কারণ ছাড়া।

বিমান, রেল, মেট্রো পরিষেবা ও আন্তঃরাজ্য ভ্রমণ নিষিদ্ধই থাকবে।

বন্ধ থাকবে স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা/ প্রশিক্ষণমূলক প্রতিষ্ঠান।

সেই সঙ্গে রেস্তোরাঁ, হোটেলও বন্ধ থাকবে।

বড় জমায়েতের স্থান যথা সিনেমা হল, মল, জিম ও ক্রীড়া সংস্থাগুলিও বন্ধ রাখা হবে।

এছাড়াও সরকার কোনও রকমের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক জমায়েতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। ধর্মীয় সমাবেশও নিষিদ্ধ।

সন্ধ্যা সাতটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত কেউ বাইরে বেরোতে পারবেন না। ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষদের বাড়িতেই থাকতে হবে।

‘রেড জোন’-এর ক্ষেত্রে কোনও ক্যাবের অনুমতি মেলেনি। খোলা যাবে না সেলুন।

একক অবস্থানের দোকানগুলি খোলা যাবে। সেখানে আবশ্যক বা অনাবশ্যক ভেদাভেদ করা হবে না।

অধিকাংশ বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি অফিস খোলা যাবে। তবে ৩৩ শতাংশ কর্মী নিয়ে। বাকিরা ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করবেন।

ওষুধের দোকানগুলি খোলা যাবে। তবে সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে। অত্যাবশ্যক সামগ্রী নির্মাণের কাজ চালু থাকবে।

‘রেড জোন’-এর ক্ষেত্রে ই-কমার্স সংস্থাগুলি কেবলমাত্র আবশ্যক সামগ্রী সরবরাহ করতে পারবে। নির্মাণকার্য শুরু করা যাবে। তবে বাইরে থেকে শ্রমিক আনা যাবে না।

ব্যাঙ্ক, বিদ্যুৎ, জল স্যানিটেশন ও ইন্টারনেট খোলা থাকবে। তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মাধ্যম, কোল্ড স্টোরেজ ইত্যাদি চালু থাকবে।