লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার পরে বেশ কিছু বাণিজ্যিক ও শিল্পজাত উদ্যোগ ও পরিষেবায় ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর কথামতো আগামী ২০ এপ্রিলের পর ছাড় দেওয়া হবে কৃষি ক্ষেত্র, তথ্যপ্রযুক্তি, ই-কমার্স এবং আন্তঃরাজ্য পরিবহণ ব্যবস্থায়।
বুধবার প্রকাশিত হল তার বিস্তারিত তালিকা।
লকডাউন চলাকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে :
✓ সমস্ত ক্যাব পরিষেবা, ট্যাক্সি, অটো রিকশা, হাতে টানা রিকশা ও সাইকেল রিকশা চলাচল বন্ধ থাকছে।
✓ কর্মস্থলে এবং রাস্তায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
✓ বন্ধ থাকছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং কোচিং সেন্টার।
✓ কারখানা, হোটেল-রেস্তোরাঁ, শপিং মল, সিনেমা হল বন্ধ থাকবে।
✓ বন্ধ থাকবে দেশের সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র।
✓ সবরকম রাজনৈতিক ও সামাজিক জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে।
✓ বন্ধ থাকবে সমস্ত ধর্মীয় স্থান।
✓ প্রার্থনার জন্য জমায়েত করা যাবে না।
✓ যত্রতত্র থুতু ফেললে জরিমানা।
✓ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া হটস্পটগুলিতে ঢোকা-বেরনো নিষেধ।
লকডাউন চলাকালীন ২০ এপ্রিলের পর ছাড় মিলবে –
✓ খোলা থাকবে সমস্ত মুদি দোকান এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, স্বাস্থ্যকর পণ্য, ফল, সবজি, পোলট্রিজাত পণ্য, মাংস, মাছ ও পশুখাদ্য বিপণন কেন্দ্র ও ঠেলাগাড়ি।
✓সংবাদপত্র ও বৈদ্যুতিন মিডিয়া, ডিটিএইচ ও কেবল পরিষেবা স্বাভাবিক ভাবেই কাজ করবে।
✓ ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, ছুতোর মিস্ত্রি, গাড়ির মেকানিক ও আইটি মেকানিকরা কাজ করতে পারবেন কিন্তুু তবে তাঁদের পরিষেবা সম্পূর্ণ লকডাউন বা সিল করা এলাকায় নিষিদ্ধ থাকছে।
✓ ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে পরিষেবা দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে চলাচল করতে পারবে ই-কমার্স সংস্থার পণ্যবাহী যানবাহন।
✓ খোলা থাকছে সমস্ত মেডিক্যাল পরিষেবা, হাসপাতাল, ক্লিনিক, নার্সিংহোম, ওযুধের দোকান, প্যাথলজিকাল ল্যাবরেটরি, ব্লাড ব্যাঙ্ক ইত্যাদি এবং পশু চিকিৎসা কেন্দ্র ও হাসপাতাল।
✓ পুরোপুরি খোলা থাকবে ফিশারি ও ডেয়ারি ক্ষেত্র। চালু রাখা হচ্ছে মৎস্যচাষ, মৎস্য উৎপাদন, মৎস্য পরিক্ষাকেন্দ্র, কোল্ড স্টোরেজ, মৎস্যখাদ্য উৎপাদন, ক্যাকেজিং ও বিপণন ব্যবস্থাও। মাছ, চিংড়ি ও অন্যান্য মৎস্যজাত পণ্য চলাচলেও ছাড় দেওয়া হয়েছে।
✓ চা ও কফি বাগান, কাজু বাগান এবং রাবার প্ল্যান্টেশনগুলিতে ৫০% কর্মীকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে। এই সমস্ত পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রেও ৫০% কর্মীকে কাজ করতে দেওয়া হবে। একই ভাবে পশু আশ্রয় কেন্দ্র, গোশালা, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য সংগ্রহ ও সরবরাহ, পোলট্রি, মৎস্যচাষ কেন্দ্র, পশুখাদ্য উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতেও কাজ করতে দেওয়া হবে পঞ্চাশ শতাংশ কর্মীকে।
✓ ডাকঘর-সহ ডাক পরিষেবা এবং ডাকযোগে আদানপ্রদানযোগ্য পণ্য চলাচলেও ছাড় দিয়েছে সরকার।
TOTAL GUIDELINES IN PDF (OFFICIAL)