28/10/2020

লকডাউন 4.0 কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কী কী ঘোষণা করলেন, তা একনজরে দেখে নিন

লকডাউন 4.0 কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কী কী ঘোষণা করলেন, তা একনজরে দেখে নিন

‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর অভিযানের আওতায় নয়া আর্থিক প্যাকেজের পঞ্চম তথা শেষ অংশের ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
economic Package announced Nirmala sitaraman

প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকার সেই প্যাকেজে আওতায় আর কী কী জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী, তা একনজরে দেখে নিন –

✓✓✓ সাতটি ধাপে বলা হবে। মনরেগা, গ্রামীণ ও শহর এলাকায় স্বাস্থ্য, বাণিজ্য এবং করোনা, ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস, পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজ, রাজ্য সরকার ও তাদের কাছে দেওয়া সম্পদ, কোম্পানি অ্য়াক্টের ডিক্রিমিলাইজেশন।

✓✓✓ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন ১৬ মে পর্যন্ত পিএম কিষান যোজনায় ৮.১৯ কোটি কৃষক টাকা পেয়েছেন। মোট ১৬,৩৯৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। সরাসরি টাকা পাঠানোয় এই সুবিধা পেয়েছেন।

✓✓✓ ৬.৮১ কোটি রান্নার গ্যাস দেওয়া হয়েছে। ২.৮১ কোটি প্রবীণ নাগরিক ও বিশেষভাবে সক্ষমদের টাকা পাঠানো হয়েছে। ২,৭০৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

✓✓✓ ২০ কোটি জনধন অ্যাকাউন্টের গ্রাহক ১০,১২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন।

✓✓✓ প্রধানমন্ত্রী ই-বিদ্যা প্রোগাম চালু করা হবে। দীক্ষা প্রকল্পের অধীনে দেশের সব রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্কুলের পড়াশোনার ক্ষেত্রে ই-কনটেন্ট চালু করা হবে। সব শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য একটা দেশে, একটি ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্ম এবং এক ক্লাস, একটি চ্যানেল চালু হবে। আগামী ৩০ মে’র মধ্যে দেশের ১০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনলাইন ক্লাস শুরুর অনুমতি দেওয়া হবে। পড়ুয়াদের মানসিক সমর্থন দেওয়ার জন্য ‘মনদর্পণ’ কর্মসূচি শুরু হবে।

✓✓✓ ১২ টি শিক্ষামূলক চ্যানেল চালু করা হবে।

✓✓✓ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নতি। সরকারি ব্যয় বাড়ানো হবে। বিশেষত সম্বাবনামত জেলাগুলিতে বাড়তি নজর দেওয়া হবে। প্রতিটি জেলা হাসপাতালে সংক্রামক রোগের জন্য ব্লক থাকবে। প্রতিটি ব্লক স্তরে জনস্বাস্থ্য ল্যাব তৈরি করা হবে।

✓✓✓ বাজেটে মনরেগার জন্য ৬১,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। বাড়তি ৪০,০০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।

✓✓✓ কেন্দ্র একটি নয়া পাবলিক সেক্টর পলিসি ঘোষণা করবে।

✓✓✓ কোম্পানি অ্যাক্টের অধিকাংশ ধারা ডিক্রিমিনালাইজ করা হবে। সাতটি বাদ দেওয়া হবে এবং অধ্যাদেশের মাধ্যমে পৃথক কাঠামো দিয়ে পাঁচটি ধারা ঠিক করা হবে।

✓✓✓ করোনাভাইরাসের জেরে কেন্দ্র ও রাজ্যের উপর আর্থিক চাপ পড়েছে। তবে রাজ্যগুলিকে সব সহায়তা করা হচ্ছে। এটা করে আমরা খুব ভালো কাজ করেছি, এমন নয়। এটা আমাদের দায়িত্ব। রাজ্যগুলি ঋণ নেওয়ার সর্বোচ্চ হার বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিল। তা মেনে নিয়ে রাজ্যগুলির জিএসডিপি’র পাঁচ শতাংশ ধারের অনুমতি দেওয়া হল। যা তিন শতাংশ ছিল।

✓✓✓ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নয়া প্যাকেজ ঘোষণার আগে ১,৯২,৮০০ কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল। নয়া আর্থিক প্যাকেজের প্রথম দফায় ৫,৯৪,৫০০ কোটি টাকার ঘোষণা করা হয়েছিল। প্যাকেজের দ্বিতীয় দফায় ৩,১০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্যাকেজের তৃতীয় দফায় ১,৫০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্যাকেজের চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় ৪৮,১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ‘আত্মনির্ভর অভিযান’ প্যাকেজে মোট ২০,৯৭,০৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।