প্রকাশিত হল উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল,প্রথম স্থানাধিকারী পেয়েছেন ৪৯৯ নম্বর
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শুক্রবার বিকেলে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফল প্রকাশ করেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস। তিনি জানান, উচ্চ মাধ্যমিকের যাবতীয় রেকর্ড এবার ভেঙে গিয়েছে।
মেধাতালিকা প্রকাশ না হওয়ায় জন্যে নাম জানালেন না উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস। তিনি জানান এবার উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী পেয়েছেন ৪৯৯ নম্বর (৯৯.৮ শতাংশ)।
পাশের হার তো গতবারের থেকে একধাক্কায় ৩.৮৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০.১৩ শতাংশ। ফলে পাশের হারে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে নয়া রেকর্ড তৈরি হয়েছে।
২০১৯ সালে ৪৯৮ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছিলেন কোচবিহার জেনকিন্স স্কুলের রাজর্ষি বর্মণ এবং বীরভূম জেলা স্কুলের শোভন মণ্ডল। দুই জনেই বিজ্ঞান বিভাগের ছিলেন। তবে এবারের প্রথম স্থানাধিকারী কোন শাখার তাও জানানো হয়নি।
এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ৭ লাখ ৭৫ হাজার। পরীক্ষায় বসেছে ৭ লাখ ৬১ হাজার। পাশ করেছেন ৬ লাখ ৮০ হাজার ৫৭ জন। পাশের হার ৯০.১৩ শতাংশ।
৯০-১০০ শতাংশের মধ্যে নম্বর পেয়েছেন ৩০,২২০ জন। ৮০-৮৯ শতাংশের মধ্যে নম্বর পেয়েছেন ৮৪,৭৪৬ জন। যা গতবারের থেকে প্রায় ৩৬,০০০ বেশি।বিজ্ঞানে পাশের হার ৯৮.৮৩ শতাংশ ।বাণিজ্যে পাশের হার ৯২.২২ শতাংশ। কলা বিভাগে ৮৮.৭৪ শতাংশ।
৩১ আগস্ট পর্যন্ত স্ক্রুটিনি এবং রিভিউ করা যাবে। শুধুমাত্র যেগুলির পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলির শুধু। অনলাইনেই হবে। আজ রাত থেকে সেটি সংসদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
এবার স্ক্রুটিনির জন্য ৬০ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা নেওয়া হবে। রিভিউয়ের জন্য ১০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৭৫ টাকা করা হয়েছে। আপাতত এবারের জন্য এই সিদ্ধান্ত।
Uchcho Madhyamik (Higher Secondary) results are out. Students are taking another step forward in their beautiful lives. Congratulations to them all, along with their principals, teachers and parents. The future is waiting for you.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 17, 2020
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। সুন্দর জীবনের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে পড়ুয়ারা। তাদের অধ্যক্ষ, শিক্ষক এবং অভিভাবক-সহ সবাইকে অভিনন্দন। তোমাদের অপেক্ষায় রয়েছেন ভবিষ্যৎ।’
আগামী ৩১ জুলাই দুপুর ২ টো থেকে সংসদের ৫২ টি ক্যাম্প থেকে মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট বিতরণ করা হবে। অভিভাবকরা এলে ভালো, নাহলে পড়ুয়ারা আসতে পারেন।